• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কেএনএফ’র সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রুমায় তুমুল গোলাগুলি আতঙ্ক, হতাহতের শঙ্কা বর্ণাঢ্য আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত মহালছড়িতে বৈসাবি ফুটবল টুর্নামেন্টে অংম্রাং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন বান্দরবানে জলবায়ু ধর্মঘট করেছে ইয়ুথনেট বান্দরবানে যৌথ অভিযানে গণগ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পিসিপির বিক্ষোভ মিছিল মানিকছড়িতে সাংগ্রাই উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা অনুষ্ঠিত সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের সবর উপস্থিতি অসাম্প্রদায়িক ও স্মার্ট জনপদ গড়ার অঙ্গীকার তীব্র দাবদাহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট পোল্ট্রি খামারে হাঁসফাঁস অবস্থা! খাগড়াছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সম্মেলন ২০ এপ্রিল

মানিকছড়িতে সৌর বিদ্যুতে চলছে সেচ পাম্প, আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৫০৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১

মানিকছড়ি উপজেলার বেশ কিছু আবাদি জমি গুলোতে এ মৌসুমে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের নির্ভর করতে হতো ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের ওপর। পাম্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করতে খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেক জমি অনাবাদি থাকতো। কিন্তু বর্তমানে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এখন সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে চলছে সেচ পাম্প। যার ফলে বদলে যাচ্ছে মানিকছড়ি উপজেলার বর্তমান মৌসুমে অনাবাদি থাকা কৃষকদের ভাগ্য। তাদের মুখে ফুটেছে হাসি, ফিরেছে স্বস্থির নিঃশ্বাস। এ পদ্ধতির মাধ্যমে জ্বালানি খরচ না হওয়ায় চরের অনাবাদি জমিগুলো ভরে উঠেছে সবুজ ফসলে।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা সদর, বাটনাতলী, যোগ্যাছোলা ও তিনটহরী ইউয়িনের প্রায় দুই হাজার একশ হেক্টর জমি বর্তমান মৌসুমে অনাবাদি থাকত। এর বেশির ভাগ এলাকাতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলে নেই সেচ পাম্পের ব্যবহার। এসব এলাকার জমি উর্বর হলেও অধিকাংশ জমিই পড়ে থাকতো অনাবাদি। কারণ ডিজেল চালিত সেচ পাম্পে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। কিন্তু গত ২০১৯-২০অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কৃষকের কথা চিন্তা করে স্থাপন করেছে সৌর প্যানেল। যার মাধ্যমে বর্তমানে বাটনাতলী ইউনিয়নের বড়বিল ও তিনটহরী ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় সোলার পাম্প স্থাপন করায় পাল্টে যাচ্ছে এখানকার কৃষকদের জীবন। তারা এখন বছরব্যাপী ধান, ভুট্টা, মরিচ, টমেটোসহ বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষ করছে। পানি দুঃশ্চিন্তা আর করতে হচ্ছে না। এছাড়াও যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের কালাপানি এলাকায়ও একটি সৌর প্যানেল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থাপন শেষ হলে ঐ এলাকার কৃষদের ভাগ্যের উন্নতি ঘটবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

বড়বিল এলাকার কৃষক ম্রাসাথোই মারামা জানান, এ মৌসুমে পানির অভাবে জমি চাষ করতে সমস্যা হতো। খরচও বেশি হতো। কিন্তু বর্তমানে পানির জন্য আর কোনো সমস্যা হয় না। একই এলাকার একাধিক কৃষক তারাও জানিয়েছেন স্বস্তির কথা।

এদিকে তিনটহরী ইউনিয়নে করিম শেখ জানিয়েছেন, সৌর পাম্পের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা হয়েছে। খরচও কম হচ্ছে। সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা না করলে এ মৌসুমে আমাদের অনেকেরই জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকত।

সোলার স্থাপন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদনে যেখানে খরচ হতো ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। এখন সেখানে ফসল উৎপাদন থরচ অনেক কমে গেছে। ফলে ফসল উৎপাদনে তাদের আগ্রহ বাড়ছে।

২নং বাটনাতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম মোহন জানান ‘বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে রূপান্তর করতে হলে কৃষকদের ভাগ্যেও উন্নয়ন করতে হবে। কৃষকরা বিনামূল্যে পানি সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদন করে যেন লাভবান হতে পারে, সে লক্ষ্যেই এই সোলার সেঁচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।’

তিনটহরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, কৃষিতে পরিবর্তন আনতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আর তাই অত্র ইউনিয়নের অনাবাদী কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল ব্যবহার করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে কৃষকের অর্থনীতির চাকা সচল থাকছে।

মানিকছড়ি উপজেলা উদ্ভদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন গুপ্ত জানান, বর্তমান মৌসুমে পানির অভাবে অনাবাদি জমি গুলো চাষাবাদ করা সম্ভব হতো না। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সময়োপযোগী একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। যার ফলে কৃষকরা এ প্রকল্পের তাদের অনাবাদি জমি চাষাবাদরে সুযোগ পেয়েছেন। সারা বছর চাষাবাদ করতে পেরে তারা লাভবান হচ্ছে। তাছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযু্িক্ত ব্যবহারে কৃষি বিভাগ হতে সার্বক্ষণিক প্রয়োনীয় পরার্মশ প্রদান করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ