• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বান্দরবানে জলবায়ু ধর্মঘট করেছে ইয়ুথনেট বান্দরবানে যৌথ অভিযানে গণগ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পিসিপির বিক্ষোভ মিছিল মানিকছড়িতে সাংগ্রাই উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা অনুষ্ঠিত সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের সবর উপস্থিতি অসাম্প্রদায়িক ও স্মার্ট জনপদ গড়ার অঙ্গীকার তীব্র দাবদাহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট পোল্ট্রি খামারে হাঁসফাঁস অবস্থা! খাগড়াছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সম্মেলন ২০ এপ্রিল ব্যাংকে হামলা: ১৮ নারীসহ ৫৩ কেএনএফ সন্ত্রাসীর রিমান্ড মঞ্জুর মানিকছড়িতে মোবাইল কোর্টে জরিমানা নতুন বাজার আনন্দ মেলা খেলার মাঠে গোলবার প্রদান করলেন কাপ্তাই সেনা জোন চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর অভিযানে সি আর মামলার ৭ আসামী গ্রেপ্তার

লামায় মধ্যরাতের আগুন কেড়ে নিল তিন নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের সর্বস্ব

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা: / ৬৭৫ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা:
আগুনে পুড়ে ঘরের শেষ চিহ্নটুকুও আর নেই। যেখানটায় ঘর ছিল সেখানে পড়ে কিছু পোড়া টিন ও ছাই। এর পাশেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি আগুনে পোড়া ঝলসানো জিনিসপত্র। পোড়া ঘরের মধ্যে নির্বাক বসে আছেন ৭০ বছর বয়স্ক জুমচাষী চাবাঅং মার্মা। মধ্যরাতের আগুনে পুড়ে গেছে তাঁর সংসার। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এই ঘরে থাকতেন তিনি। এখন কোথায় যাবেন দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপরে বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের টিয়ারঝিরি মার্মা পাড়ায় গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। গত বুধবার দিবাগত রাতের সাড়ে ১০টায় আগুনে পুড়ে গেছে পাড়ার তিনটি পরিবারের সবকিছু। টিয়ারঝিরি উপরের মার্মা পাড়ার ১৯টি ঘরের মধ্যে তিনটি মাঁচাং ঘর পুড়ে শেষ। আগুন দেখে পাড়ার সবাই এগিয়ে এসে পানি ও বালি দিয়ে চেষ্টা করে বাকী ঘর গুলো আগুন থেকে রক্ষা করে।
আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো হল, চাবাঅং মার্মা (৭০) পিতা- মৃত ¤্রাথুই অং মার্মা, মংচিং থোয়াই মার্মা (৪৫) পিতা- চাবাঅং মার্মা ও মংক্যও মার্মা (২৫) পিতা- মংচিং থোয়াই মার্মা। সকলে একই পাড়ার বাসিন্দা। প্রতিটি ঘরে এক-একটি পরিবার থাকত। সকলে কৃষিকাজ ও জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

মংচিং থোয়াই মার্মা বলেন, সারাজীবন ধরে তিল তিল করে জমানো সব সঞ্চয় আর গৃহস্থালি পণ্য এক রাতের আগুনে পুড়ে গেছে। বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘কিছুই নিয়ে বের হতে পারিনি। এক কাপড়ে ঘরের সবাই বের হয়ে এসেছি। ঘরের মধ্যে মালামাল, ফার্ণিচার, সারাবছরের জমানো ধান সহ যা ছিল সব পুড়েছে। একজীবনে জোগাড় করা জিনিসপত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মন্নান বলেন, উপরের পাড়ায ১৯টি পরিবার বাস করে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে।

রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, পাড়াটি অনেক দুর্গম এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার তিনটিকে আপাতত ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ কেজি চাউল, ডাল, তেল, মরিচ, পেয়াজ ও ২টি কম্বল দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। গভীররাতে আগুন লাগায় কি কারণে আগুনের সূত্রপাত তা জানা যায়নি। তবে চুলার আগুন থেকে হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশীদ বলেন, ‘স্থানীয় মেম্বারকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা দিতে বলেছি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ