• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন যারা কেএনএফের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ছাত্রলীগের সভাপতি সহ ৭ জন কারাগারে অবৈধ দখলদার হতে ময়লা ডাম্পিং ও সেড নির্মাণের জায়গা উদ্ধারে মানববন্ধন কাপ্তাই উপজেলা সদরে হাঁসের খামারে ধরা পড়লো ১৪ ফুট লম্বা অজগর : কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত  কাপ্তাই লেকে পানি স্বল্পতায় কাপ্তাই-  বিলাইছড়ি নৌ রুটে  নৌ চলাচল ব্যাহত বান্দরবানের রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত খাগড়াছড়ি জেলা পু‌লিশের সকল স্ত‌রে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মাটিরাঙ্গা সা‌র্কেল ও থানা কাপ্তাইয়ে উপকারভোগীদের মাঝে ঋণের চেক বিতরণ  গোয়ালন্দে গণহত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন মানিকছড়িতপ ইয়ুথ দলের অভিজ্ঞতা বিনিময় ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্টিত

বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা পৃথিবীতে আসবে না: তোফায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৫০০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, ‘এই পৃথিবীতে অনেক নেতা আসবে, অনেক নেতা এসেছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো মানবদরদী মহান নেতা আসবে না। সমুদ্রের গভীরতা মাপা যাবে, আপনারা আটলান্টিক মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা মাপতে পারবেন, কিন্তু বাঙালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালবাসার গভীরতা মাপা যাবে না।

শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বাংলার মানুষ ও মাটির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা, সফলা, শস্য- শ্যামল বাংলায় রূপান্তরিত করব।’

তিনি আরো বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই ভিত্তি বঙ্গবন্ধু স্থাপন করেছিলেন। কৃষকের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে দরদ ছিলো তা চিন্তা করা যায় না।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৈশোর-তরুণ বয়স থেকে বাংলার কৃষকের দৈন্যদশা স্বচক্ষে দেখেছেন, যা বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে গভীরভাবে রেখাপাত করে। তাই আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুর সারা রাজনৈতিক জীবনজুড়ে কৃষক ও কৃষির উন্নয়ন ও কল্যাণ ভাবনা নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। বাংলার দুঃখী মানুষ-কৃষক শ্রমিকের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা ছিল অকৃত্রিম।

কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বঙ্গবন্ধু। এছাড়া ১৯৭০ সালে নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন কৃষির প্রতি যে অবহেলা করা হয়েছিলো এটা অমার্জনীয়। কৃষি উন্নয়নের জন্য আমাদের বিপ্লব করতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সনের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমাদের চাষী হলো সবচেয়ে দুঃখী ও নির্যাতিত এবং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পিছনে নিয়োজিত করতে হবে’।

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে এই ভার্চুয়াল সভায় আলোচক হিসাবে অংশগ্রহণ করেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও লেখক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এমএ সাত্তার মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, সাবেক সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ