• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
দক্ষিণ কোরিয়া জিমন্যাস্টিকস প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের টিমের ১০ জনই কোয়ান্টাম শিক্ষার্থী জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন চকরিয়ার হারবাং এ গলায় ফাঁস দিয়ে এক মেয়ের আত্মহত্যা সিএমএসএমই উদ্যোগসমূহে ক্লাস্টার ভিত্তিক অর্থায়ন বিষয়ক কর্মশালা চকরিয়ায় বাসচাপায় ২ শিশু নিহত, আহত ১ কমলনগরে গৃহবধূকে ঘর থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সুন্নীয়াতের প্রত‍্যয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী হয়েছেন মীর মো. আবু বাকার চরনিশিবয়ড়া কবরস্থানে জামায়াতের অনুদান প্রদান কুমিল্লা-৯ আসনে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী হলেন সৈয়দ ড. রেজাউল হক চাঁদপুরী স্বপ্নসারথি দলের জীবন দক্ষতা উন্নয়ন সেশন ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ  অনুষ্ঠিত

রামগড়ে ওএমএসে একতরফা আতপ চাল বিতরন

রামগড় প্রতিনিধি: / ২২৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১

খাগড়াছড়ির রামগড়ে চলমান লকডাউনে সরকার বিশেষ ওএমএস চালু করেছে। দরিদ্র মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে পৌরসভায় তিনজন ডিলারের মাধ্যমে এ বিশেষ ওএমএস এ প্রতিজনকে ৩০ টাকা কেজিতে ৫ কেজি করে চাল ও ১৮ টাকা কেজিতে ৫ কেজি করে আটা বিতরণ করা হচ্ছে।

বিতরনের প্রথম কয়েকদিন সুভিধাভোগীদেরকে সিদ্ধ ও আতপ চাল দিলেও বর্তমানে খাদ্য বিভাগ থেকে সিদ্ধ চাল দেয়া বন্ধ করায় নাখোশ হয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। কারণ পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন আতপ চাল পছন্দ করলেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আতপ চাল খেতে পছন্দ করেন না। তারা সব সময় সিদ্ধ চাল খেয়ে থাকেন। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানেন। এরপরও কার স্বার্থে এবার সিদ্ধ চাল বিতরণ বন্ধ করা হয়েছে এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২৫ জুলাই থেকে বিশেষ ওএমএস চালু করার দিনই সুবিধাভোগীরা আটা ক্রয় থেকে বঞ্চিত ছিল। পরে আটা দেয়া শুরু করার কয়েকদিনের মাথায় সিদ্ধ চাল বিতরণ বন্ধ করায় বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছে সুবিধাভোগীরা। কারন বাজারে আতপ চাল থেকে সিদ্ধ চালের দাম তুলনামূলক বেশি। তাদেরই অনেককে আবার ডিলার পয়েন্ট থেকে আতপ চাল কিনে বাজারে নিয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করে বাজার থেকে সিদ্ধ চাল কিনেছেন।

সুবিধাভোগীদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুদাম থেকে চাল ব্যবসায়ীদেরকে টাকার বিনিময়ে সিদ্ধ চাল নিতে দেখা গেলেও আমাদের বেলায় সংকট তৈরী করছে গুদাম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ডিলার মোঃ শাহ আলম বলেন, সিদ্ধ চাল বিতরণ না থাকায় সুবিধাভোগীদের অনেকে অসন্তুষ্ট। সিদ্ধ চাল বরাদ্দ বিবেচনায় নেয়া দরকার।

সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেলেও বরাদ্দ বিতরনের ছাড়পত্রের কোথাও চালের আগে পরে সিদ্ধ অথবা আতপের উল্লেখ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শুধুমাত্র চাল উল্লেখ করায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সুবিধাভোগীরা।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা খাদ্য গুদাম কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাকে পাওয়া না যাওয়ায় সিদ্ধ চাল বরাদ্দ বন্ধের সঠিক কারন জানা যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ