• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চকরিয়ায় বাসচাপায় ২ শিশু নিহত, আহত ১ কমলনগরে গৃহবধূকে ঘর থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সুন্নীয়াতের প্রত‍্যয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী হয়েছেন মীর মো. আবু বাকার চরনিশিবয়ড়া কবরস্থানে জামায়াতের অনুদান প্রদান কুমিল্লা-৯ আসনে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী হলেন সৈয়দ ড. রেজাউল হক চাঁদপুরী স্বপ্নসারথি দলের জীবন দক্ষতা উন্নয়ন সেশন ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ  অনুষ্ঠিত সোনাইপুল বাজার উন্নয়নে মেয়র রফিকুল আলমের আর্থিক অনুদান প্রদান কলাবতী শাড়ি আগামীতে রপ্তানি হবে – শাহ্ মোজাহিদ মাটিরাঙার দুই ইটভাটায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা সিরাজগঞ্জে  বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস  উপলক্ষ্যে র‍্যালি  প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠি

ফরম ফিলাপে প্রধান শিক্ষকের নয়-.ছয়, দাখিল পরীক্ষা দিতে পারেনি মানিকছড়ি ১৬ পরীক্ষার্থী

মো. রবিউল হোসেন, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: / ৩১৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১

চলমান দাখিল পরীক্ষার ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ১৬ জন পরীক্ষার্থীকে ফরম ফিলাপ না করিয়ে ভূয়া প্রবেশ পত্র প্রদান ও অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির উপজেলার গাড়ীটানা নেছারিয়া ইসলামি দাখিল মাদ্রাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক) মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে। এতে ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া চলমাল দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি ওই প্রতিষ্ঠানের ১৬জন পরিক্ষার্থী।

ভূক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান, চলতি মাসের ১৪ তারিখ শুরু হওয়া দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহনের লক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান মাহমুদুল হাসানের নিকট ফরম ফিলাপ ও কেন্দ্র ফি বাবদ ১৫শ টাকা করে প্রদান করেন পরীক্ষার্থীরা এবং সেই লক্ষে সকল পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রও প্রদান করেন ঐ সুপার। পরীক্ষার রুটিনানুযায়ী ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টায় মানিকছড়িস্থ দক্ষিণ চেংগুছড়া নেছারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান পরীক্ষার্থীরা। সেখানে মাহমুদুল হাসান পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে অটো পাস করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে
পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র হতে তার (শিক্ষক) মায়ের বাসায় চলে যেতে বলেন এবং শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের মায়ের বাড়িতে পরীক্ষা চলাকালিন সময় অর্থাৎ দেড় ঘন্টা অবস্থান করেন। পরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তাদের স্ব স্ব বাড়িতে পৌছে দেন
মাহমুদুল। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, পরীক্ষার বিষয় কাউকে কোন কিছু বলা যাবে না, যদি তোমরা বিষয়টি গোপন না রাখো তাহলে আমি তোমাদের অটো পাশের ব্যবস্থা করতে পারবো না। তা কথা অনুয়ায়ী পরীক্ষাথীরা
বিষয়টি গোপন রাখেন।

পরে শুক্রবার বিকেলে পরীক্ষার্থীরা জানতে পারে তাদেরকে দেওয়া এডমিট কার্ড (প্রবেশপত্র) ভূয়া এবং তাদের মধ্যে কোন পরীক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশনও করা হয়নি হয়নি।
এঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদিন এমন কর্মকান্ড নেক্কারজনক ও দুঃখজন উল্লেখ করে বলেন, যেহেতু দুইটি পরীক্ষা অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা ঘটনাটি জানতে পেরেছি সেহেতু এই মুহুর্তে পরীক্ষার্থীদের শান্তনা দেওয়া ছাড়া তাদের (পরীক্ষার্থীদের) কোন কিছুর করা সম্ভব নয়। এর জন্য তারা এবং তাদের অভিভাবক অসচেতনতাই অনেকটা দায়ী। আমরা পরিচালনা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে মানিকছড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে আত্মগোপনে থাকা অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলেও তা সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ