• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
দক্ষিণ কোরিয়া জিমন্যাস্টিকস প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের টিমের ১০ জনই কোয়ান্টাম শিক্ষার্থী জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন চকরিয়ার হারবাং এ গলায় ফাঁস দিয়ে এক মেয়ের আত্মহত্যা সিএমএসএমই উদ্যোগসমূহে ক্লাস্টার ভিত্তিক অর্থায়ন বিষয়ক কর্মশালা চকরিয়ায় বাসচাপায় ২ শিশু নিহত, আহত ১ কমলনগরে গৃহবধূকে ঘর থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সুন্নীয়াতের প্রত‍্যয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী হয়েছেন মীর মো. আবু বাকার চরনিশিবয়ড়া কবরস্থানে জামায়াতের অনুদান প্রদান কুমিল্লা-৯ আসনে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী হলেন সৈয়দ ড. রেজাউল হক চাঁদপুরী স্বপ্নসারথি দলের জীবন দক্ষতা উন্নয়ন সেশন ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ  অনুষ্ঠিত

প্রতিবন্ধকতাও ডিঙ্গিয়ে মহেশখালীতে নারীরাও কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই

হ্যাপী করিম (মহেশখালী) কক্সবাজার: / ১৫০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে একজন নারী শুধু চাকরির বাজারে নয়, বরং নিজে উদ্যোক্তা হয়ে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নারীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের নারীরাও কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই।

সরেজমিনে প্রতিবেদনে…মহেশখালী পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দুপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের রঞ্জিত দে এর স্ত্রী অর্পনা দে তার স্বামী সাপোর্টে, ফার্মেসী বিষয়ে নিজ যোগ্যতায় ও আত্মবিশ্বাস এগিয়ে যাচ্ছে।

অর্পনা দে বলেন- কলেজ পড়াকালীন বিয়ে হয়ে গত ২০০৭ সালে সংসার-সন্তান এগুলো করতে গিয়ে চাকুরী করার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সবসময় মাথায় থাকতো, আমাকে কিছু করতে হবে এ উদ্যোগে। তিনি জাতীয় দৈনিক আজকের সংবাদের প্রতিনিধি হ্যাপী করিম’কে আরও জানান নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনে প্রচুর পরিশ্রম করো। নতুন লক্ষ্য স্থির করা বা নতুন স্বপ্ন দেখার জন্য বয়স কোনও বাধাই নয়। আমার বাবার বাড়ী টেকনাফ হলেও শাশুর বাড়ীর এলাকার লোকজন ও স্বামী নিজেও ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি’র সুবাদে আমাকে যে অনুপ্রেরণা এবং আমি নিজের আত্মবিশ্বাস হারাইনি। আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের প্রাইভেট পড়ায়তাম। আর এখন দোকান ভাড়া নিয়ে, গত ১৫ জুলাই থেকে ফার্মেসী ব্যবসা চালু করি। এর সাথে বিকাশ ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা চালু করবো।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এলাকার কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে কিংবা আহত হলে তিনি সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। গভীর রাত হলেও এলাকার কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে জানালে তিনি দ্রুত তাদের সহযোগিতা এগিয়ে আসেন। এখন তিনি সমাজের বোঝা নন দৃষ্টান্ত। তিনি এলাকার মানুষের আস্থা ও ভরসার প্রতীক। একজন নারী হওয়া সত্তেও অর্পনা দে নিজের আত্মবিশ্বাস ও নিজ চেষ্টায় সে পড়াশুনা করে বর্তমানে স্থানীয় হিন্দুপাড়া বাজারে ফার্মেসী ব্যবসা পরিচালনা করছে। এলাকার কেউ অসুস্থ এমন খবর পেলে সে ছুটে যায় ওই রোগীর বাড়িতে। এলাকার মানুষের কাছে সে এখন ভরসার প্রতীক। এমন যুবক তরুণ সমাজের কাছে আদর্শ হতে পারে।

মহেশখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মন্জুর মোরশেদ জানান, সে নারী হওয়ার পরেও নিজ উদ্যোগে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এটি গর্বের বিষয়। তবে যেহেতু  আমরা সমাজ সেবা অফিস থেকে আগামীতে সরকারীভাবে সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা করে দিবো।
এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ